উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গোয়ালন্দ ,রাজবাড়ীর ওয়েবপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম। উপজেলার জনগনের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য বিভাগ , রাজবাড়ী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিকচিত্র তুলে ধরতে, এবং জনগনের সাথে আরো ফলপ্রসুভাবে যোগাযোগ করাই এই পোর্টালের উদ্দেশ্য। আপনাদের মূল্যবান যেকোনো কোন পরামর্শ, ও মতামত আমাদের কাজকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
২০২১ সালের ১৮ আগস্ট স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর তিন শতাধিক যৌনকর্মী এবং ওই এলাকায় কর্মরত এনজিও কর্মী ও যৌনপল্লীর অভ্যন্তরে বসবাসকারী জন বিভিন্ন ধরনের কর্মজীবীসহ মোট ৪০০ জনকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী সিনোফার্মের ভেরোসেল টিকা প্রদান করা হয়। সামগ্রিক বাবস্থাপনায় ছিলেন তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আসিফ মাহমুদ।
দেশের বৃহত্তম দৌলতদিয়া যৌন পল্লীটি অত্যন্ত ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসে। এর ফলে, এলাকাটি করোনা সংক্রমণ বিস্তারের জন্য একটি অত্যন্ত পোটেনশিয়াল হাব। সেজন্য এর বাসিন্দাদের টিকার আওতায় আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
বিগত সাত মাস ধরে চলমান টিকা কার্যক্রমে যৌনকর্মীদের টিকা গ্রহণের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হলেও বিভিন্ন সামাজিক কারণে তাদের অংশগ্রহণ কম ছিল। ৭ আগস্ট ইউনিয়ন ভিত্তিক টিকাদানেও তাদের অংশগ্রহণ না থাকায় তাদের আলাদা ভাবে টিকা দানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং সিভিল সার্জন মহোদয় এ ব্যাপারে উৎসাহ ও নির্দেশনা প্রদান করেন।
রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ২৫ বছর করায় পূর্বের তুলনায় অধিক সংখ্যক যৌনকর্মীকে রেজিষ্ট্রেশন করানো সম্ভব হয়েছিল। রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাপারে দৌলতদিয়ার এনজিও 'পায়াক্ট বাংলাদেশ' সাহায্য করে। এছাড়াও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কেন্দ্রটি টিকাদানের জন্য ব্যবহার করা হয়। যৌনকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে আরও সহায়তা করে মুক্তি মহিলা সমিতি ও যৌনপল্লীর ভেতরের নারী উন্নয়ন সংস্থা।
এই কার্যক্রমের সময় সঙ্গে ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন রাজবাড়ী জেলার সিভিল সার্জন মহোদয়।
টিকাদানের ফলে যৌনকর্মীদের মাঝে টিকা নিয়ে ভীতি কেটে যায় এবং তারা উৎসাহিত বোধ করে। যারা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি তারা আগ্রহী হয়েছেন টিকা নেওয়ার ব্যাপারে। পরবর্তীতে তারা হাসপাতালে এসে টিকা নিয়ে যাবেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের দ্রুত সেটা করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। নির্বাচন কমিশন অফিস এ ব্যাপারে সহায়তা করবে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস